বিশ্ববিদ্যালয় গঠনতন্ত্রের বিতর্কিত ২৭(৪) ধারা বাতিল করে সরকারি অর্থায়ন বহাল রাখার দাবিতে গতকাল সোমবার দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের ভাঙচুর, সড়ক অবরোধ ও পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় ক্যাম্পাস ও আশাপাশের এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ সময় কোতোয়ালি ও সূত্রাপুর থানা পুলিশ ২৮ শিক্ষার্থীকে আটক করে। পুলিশের লাঠিচার্জে অন্তত ৩০ শিক্ষার্থী ও পথচারী আহত হয়েছে।
গতকাল সকাল ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ৯টি বাস রায়সাবাজার এলাকায় পেঁৗছলে শিক্ষার্থীরা সেখোনে বাস থামিয়ে গুলিস্তান-সদরঘাট সড়ক অবরোধ করে অবস্থান ধর্মঘট শুরু করে। এ সময় গুলিস্তান-সদরঘাটে সব যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় আধাঘণ্টা ধরে বিক্ষোভ করার পর শিক্ষার্থীদের শান্ত করতে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতারা ঘটনাস্থলে পেঁৗছে ছাত্রদের শান্ত করার চেষ্টা করে; কিন্তু ছাত্ররা নেতাদের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলন অব্যাহত রাখে। এতে ছাত্রলীগ নেতারা ক্ষিপ্ত হয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে বাধা দেয়। এ সময় পুলিশ ও র‌্যাব ঘটনাস্থলে গিয়ে কয়েকজন ছাত্রকে আটক করে নিয়ে যেতে চাইলে ছাত্ররা এর প্রতিবাদ করে। পুলিশ লাঠিচার্জ করলে শুরু হয় ছাত্র-পুলিশ ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া। ছাত্ররা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পুলিশ-ছাত্র ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, সংঘর্ষে জজকোর্ট, রায়সাহেববাজার, বাহাদুর শাহ পার্ক এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এতে বাসচালকসহ অন্তত অর্ধশতাধিক আহত হয়েছে। উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা এ সময় পুরান ঢাকার লক্ষ্মীবাজার এলাকায় প্রায় ২০টি যানবাহন ভাঙচুর করে। ছাত্রলীগের সহায়তায় পুলিশ ব্যাপক ধড়পাকড়া শুরু করলে পুরো এলাকায় গ্রেফতার আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
ঘটনাস্থল থেকে কোতোয়ালি থানা পুলিশ ২৮ ছাত্র এবং সূত্রাপুর থানা পুলিশ ১০ ছাত্রকে আটক করে। এ সময় ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি আবির আহমেদকেও আটক করে পুলিশ।