নাটোরের সিংড়া উপজেলার বেলোয়া দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মকবুল হোসেনের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্য এবং স্কুল পরিচালনা কমিটি গঠনে দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। প্রধান শিকের মনগড়া ওই কমিটি অনুমোদন না দেওয়ার জন্য বিদ্যালয় পরিদর্শক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড রাজশাহীতে একটি লিখিত আবেদন করা হয়েছে।
লিখিত অভিযোগে জানা যায়, প্রধান শিক্ষক মকবুল হোসেন তার নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য নব-গঠিত ম্যানিজিং কমিটিতে প্রতারণা ও জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন। এ জন্য যথাযথ কর্তৃপকে সরেজমিনে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের অনুরোধ জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
ওই এলাকার আফজাল হোসেন, আজিজুল হক, ওবায়দুর রহমান, আজমল হোসেনসহ নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিরা জানান, প্রধান শিক্ষক একজন দূর্নীতিবাজ। তিনি নিজের আস্থাভাজন সভাপতি আহাদ আলী মল্লিকের সহযোগিতায় ৪জন শিক নিয়োগ ও স্কুলের ভোগ দখলীয় সম্পত্তির প্রায় ২০ লাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এছাড়া প্রধান শিক নিজ মতা বলে অধিকাংশ সময় স্কুলে না এসে রনবাঘা মাছের আড়তে বসে রাজনীতিতে ব্যস্ত থাকেন। এসব বিষয়ে এলাকাবাসী উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার অভিযোগ করেও কোন সুফল পায়নি। তাছাড়া ম্যাজিনিং কমিটির সদস্যদের বর্তমান ক্ষমতাশীল দলের সদস্য হতে হবে।
শুকাশ ইউনিয়ন আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এনায়েত কবির বাবলু ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ওই প্রধান শিক নিজের ইচ্ছেমত স্কুলে আসেন আর যান। বিদ্যালয় চলাকালীন বেশীর ভাগ সময় তাকে স্কুলে পাওয়া যায় না। আর শিক্ষক নিয়োগের টাকাগুলো শুনেছি উপরে পাঠানো হয়েছে।
প্রধান শিক্ষক মকবুল হোসেনের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা। আর এসব বিষয় নিয়ে এখন তিনি স্থানীয় এমপির বাসায় যাচ্ছেন বলে জানান।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ইব্রাহীম খলিল উল্লাহ অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে জানান, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। পরীক্ষার পর স্কুল পরিদর্শনে গিয়ে তিনি বিষয়গুলো দেখবেন।