গত রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বাংলাদেশ কার্ডিয়াক সোসাইটি আহ্বান জানায়।

হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের সংগঠন বাংলাদেশ কার্ডিয়াক সোসাইটি বলেছে, ‘অস্ত্রোপচার ছাড়াই হৃদরোগের স্থায়ী চিকিৎসা’র যেসব প্রচারণা চালানো হচ্ছে, তা অবৈজ্ঞানিক ও কল্পনাপ্রসূত। অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতির এসব চিকিৎসা স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়াচ্ছে। সংগঠনটি এ ধরনের প্রচারণার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের মহাসচিব খাজা নাসির উদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘অপারেশন ছাড়াই হার্ট ব্লকেজের প্রতিরোধ ও স্থায়ী চিকিৎসা’, ‘ওষুধ ছাড়াই হৃদরোগ প্রতিরোধ ও নিরাময়’, ‘ইনসুলিন ছাড়াই ডায়াবেটিস প্রতিরোধ ও নিরাময়’-এ ধরনের বেশ কিছু প্রচারণা দেখা যাচ্ছে। তিনি বলেন, এসব হচ্ছে বাজার গরম করা সস্তা চিকিৎসাপদ্ধতি। এসব চিকিৎসা নিতে গিয়ে রোগীরা উপকার পাচ্ছে না, বরং ক্ষতির শিকার হচ্ছে। এদের পাল্লায় পড়ে রোগী এমন অবস্থায় পৌঁছায় যে চিকিৎসার মাধ্যমে তাকে আর ভালো করে তোলার সুযোগ থাকে না। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, করোনারি এনজিওগ্রামের পর বাইপাস সার্জারি বা এনজিও প্লাস্টি করার প্রয়োজন নেই-১টি বিজ্ঞাপনে এমন দাবি করা হচ্ছে। ইডিটিএ (ইথাইলিন ডাইএমাইন টেট্রাএসিটিক এসিড) নামের রসায়নিক পদার্থ শিরার ভেতর সঞ্চালিত করে বাধা বা ব্লকেজ সারানো সম্ভব। এ প্রসঙ্গে কার্ডিয়াক সোসাইটি বলছে, ২য় বিশ্বযুদ্ধে সিসার বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত নৌবাহিনী সদস্যদের শরীর থেকে সিসা সরিয়ে ফেলতে ওই যৌগটি ব্যবহার করা হতো। কিন্তু তীব্র পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকার কারণে যৌগটির ব্যবহার সীমিত হয়ে পড়ে। সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সভাপতি এম আমানউল্লাহ, জাতীয় অধ্যাপক এম এ মালেক, অধ্যাপক আবুল হোসেন খান প্রমুখ বক্তব্য দেন।