মার্কিন বিজ্ঞানীরা হারবার সিল নামে উত্তর গোলার্ধীয় অঞ্চলের এক প্রজাতির সিলের মধ্যে নতুন এক প্রকৃতির ইনফ্লুয়েঞ্জা আবিষ্কার করেছেন। এ ফ্লু-ভাইরাস মানুষ ও পশুর জন্য বড় হুমকি হতে পারে বলে বিজ্ঞানীরা ভীষণ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

গত বছর নিউ ইংল্যান্ডে মারা যাওয়া হারবার সিল এইচ৩এন৩ টাইপ ফ্লুতে আক্রান্ত হয়েছিল বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে।

গবেষকরা বলছেন, পাখির কোনো ফ্লু-ভাইরাস থেকে এ ভাইরাসের উদ্ভব ঘটতে পারে। এ আবিষ্কারের ফলে কোনো অজানা উৎস থেকে ফ্লুর মহামারি ছড়িয়ে পড়ার প্রবল আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

গত বছর নিউ ইংল্যান্ডে রহস্যজনকভাবে ১৬২টি হারবার সিল মারা যায়। তখন বিষয়টি নিয়ে বেশ দ্বন্ধে পড়ে গিয়েছিলেন গবেষকরা। কিন্তু পরে জানা গেল, সিলের এ নির্বিচার মৃত্যুর পেছনে এইচ৩এন৩ ভাইরাসের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। মৃত পাঁচটি সিলের ব্যবচ্ছেদ করে নিশ্চিত হওয়া গেছে, তারা এইচ৩এন৩ ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত হয়েছিল।

এ ভাইরাসটি ২০০২ সালে উত্তর আমেরিকার পাখিদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়া ফ্লু-ভাইরাস প্রজাতির অনুরূপ।

বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে বলেছেন, মানুষের শ্বাসনালীতে প্রাপ্ত একটি প্রোটিনে আক্রমণের ক্ষমতা রয়েছে এ ভাইরাসের। এ ধরণের ফ্লু স্তন্যপায়ীর দেহে বাঁচতে পারে এবং মিউটেশনের (পরিব্যক্তি) মাধ্যমে আরো বেশি সংক্রমণ ক্ষমতা অর্জন করতে পারে।

এ ব্যাপারে নিউইয়র্ক সিটির অধ্যাপক ড. অ্যান মসকোনা বলেছেন, নতুন এ ভাইরাস আসলেই উদ্বেগের বিষয়। তিনি বলেন, উদ্বেগের বিষয় হলো, আমরা স্তন্যপায়ী প্রাণীর মধ্য দিয়ে সঞ্চারিত হওয়ার মতো একটি ফ্লু-ভাইরাস পেয়েছি। অবশ্য এখনো এটিতে সে চরিত্র দেখায়নি। আগে কোনো রোগে এমন ধরণের সংমিশ্রণ দেখা যায়নি।

সিলের মধ্যে যখন ফ্লু-ভাইরাসের সংক্রমণ আবিষ্কার করেন তখন বিজ্ঞানীরা ভেবেছিলেন, এটা নতুন কোনো প্রজাতি যা দু’টি ভাইরাস প্রজাতির মধ্যে ক্রমরূপ পরিবর্তন করতে সক্ষম।